![Picture](/uploads/2/2/7/8/22788630/2686621.jpg?505)
অসীম, আকাশ এক স্কুলে ক্লাস ৬ থেকে ক্লাস ১০ পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। পুরা স্কুল তাদের বন্ধুত্ব কথা জানতো। একি কোচিং পড়া , স্কুলে আসা যাওয়া, রেস্টুরেন্ট একসাথে খাওয়া সব যেনো এক সাথেই । পরীক্ষা যথারীতি উভয়ের ভালো হয় । স্বপ্ন বুনতে থাকে চিটাগাং কলেজে পড়ালেখা করার। ৩ মাস পর যখন রেজাল্ট বের হলো আকীব গোল্ডেন আর অসীম ৪.৭০ । সারা দিন কান্নায় কাটে অসীমের। আকীব সামান্য খোঁজ কিংবা স্বান্তনা পর্যন্ত দেয় নি । গৌরব করে আকীব যখন ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে অসীম তখন নিরবে কষ্ট পাওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারছে নাহ । অথচ অসীমের ও স্বপ্ন ছিলো গোল্ডেন পাবে । সময়টা হঠাৎ নিষ্ঠুর হতে শুরু করল । অসীমের আশা ছিলো আকীব তার বাসায় আসবে । ফোন করে যখন আকীবকে বাসায় আসতে বলে আকীবের উত্তর ছিলো দোস্ত ট্রিট দিচ্ছি রাফি দেরকে। আসতে পারবো নাহ । যে বন্ধ গুলোর সাথে তেমন ওরা মিশতো নাহ আকীব ওদের নিয়ে ট্রীট দিচ্ছে , ফেইসবুকে চেক ইন দিচ্ছে , পিক আপলোড করছে কারন ওরা সবাই প্লাস কিংবা গোল্ডেন পেয়েছে । অথচ তাদের সাথে অসীমের ও থাকার কথা ।
এস.এস.সির পর কিছু বন্ধু কিংবা বান্ধবী গুলো হঠাৎ পাল্টে যেতে থাকে । গোল্ডেন এর তকমায় তারা মনে করে অন্য সবার চাইতে সে একটু আলাদা । ছোট থেকে শুরু করে দশম শ্রেনিতে ও দুই বন্ধু ভাল্লুকের গল্পটা রয়েছে । যেখানে দেখা যায় ভাল্লুক আসলে এক বন্ধু আরেক বন্ধু কে ফেলে গাছে উঠে যায় । অপর বন্ধুটির কোনো খোঁজই নিলো নাহ । গল্পের সারমর্ম ছিলো বিপদে বন্ধুর পরীক্ষা হয় । ব্যাপার না ভাইরা । বন্ধু গেছে বন্ধু আসবে । সহ্য কর তাদের ফেইসবুকে উড়াউড়ি গুলো । কষ্ট লাগতেসে জানি । আর কিছু দিন অপেক্ষা কর । কলেজে গেলে কোনো না কোনো স্যারের মুখে শুনতে পাবি প্লাস যারা পেয়ে এসেছো তারা খুব কম ই এইচ.এস.সি তে প্লাস পায় । তাহলে প্রশ্ন কারা প্লাস কিংবা গোল্ডেন পায় এইচ.এস.সিতে??? এস.সি.তে স্বপ্ন ভাঙ্গা ছেলে গুলো পণ করে ভালো রেজাল্ট করতেই হবে । দেখিয়ে দিতে হবে পৃথিবীটাকে । আমি ও সেরা । সেই ছাত্র গুলোয় প্লাস পায় কিংবা গোল্ডেন। দেখিয়ে দে তুই ও সেরা । শুধু ২ টা বছর কষ্ট কর । আর মনে মনে টিক মার্ক দিয়ে রাখ বেঈমান বন্ধু গুলোকে ।
আমাদের কাছে লেখার জন্য ক্লিক করুন এখানে ।