কিভাবে বেচে থাকবেন পরবর্তী বরফ যুগে?
একটা অবশ্যম্ভাবী,পর্যায়মান প্রাকৃতিক চক্র এটি। একটা প্রাকৃতিক ঘড়ি। যা কিনা ফিরে আসে প্রায় ১১৫০০বছর পর পর। এবং সর্বশেষ বরফ যুগ অতিবাহিত হল আজ প্রায় ১১৫০০বছর!!!
ঘুমিয়ে পড়ছে সূর্য! আবারও একটি সংক্ষিপ্ত বরফ যুগ ফিরে আসছে পৃথিবীতে! বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সূর্য তার তেজ হারানোয় পৃথিবীতে তাপমাত্রা কমছে। চলতি বছরের শুরুতে যে সূর্যকে আমরা দেখছি তার তেজ গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। আর গত বছর সূর্যকে যতটা তেজস্বী দেখা গেছে তেমনটা আর দেখা যাবে না বলেও বিজ্ঞানী-গবেষকরা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন। সৌর গবেষকেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। তাঁরা বলছেন, তাদের কাছে মনে হচ্ছে পৃথিবী আবারও একটি ছোটখাটো বরফযুগের দিকেই এগুচ্ছে। |
গবেষকরা মনে করছেন, সূর্যের স্তিমিতি থেকে এবারেও বড় ধরনের পরিবর্তন এসে যেতে পারে। তাঁদের মতে, সে সম্ভাবনা অন্তত ২০ ভাগ।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডশায়ারে রাদারফোর্ড অ্যাপলটন ল্যাবরেটরির গবেষক রিচার্ড হ্যারিসন আন্তর্জাতিক একটি মিডিয়াকে বলেছেন, ‘যে ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেন সূর্যের তাপ কমছেই। ৩০ বছর ধরে সূর্যের গতিবিধির ওপর চোখ রাখছি। এবং আমি এমনটি আর কখনোই দেখিনি।’
হ্যারিসন বলেন, ‘ঠাণ্ডা থেকে ঠাণ্ডাতর শীত মওসুমের দিকেই এগুচ্ছে পৃথিবী। ঠিক যেমনটি ঘটেছিল মাউন্ডার মিনিমামের সেই দিনগুলোতে। তখনকার শীতের ঠাণ্ডা বিশ্বকে একটা ছোট্ট বরফযুগে আটকে রেখেছিল। টেমস নদী ছিল বরফাচ্ছন্ন।’
ইউসিএল’র লুসি গ্রিন অবশ্য মনে করেন, এবারের পরিস্থিতি মানুষের গতিবিধির কারণে আরও কিছুটা ভিন্ন হতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৪০০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করছি এবং এখনকার পরিস্থিতি আমরা মাউন্ডার মিনিমামের সঙ্গে দারুণভাবে মিলে যেতে দেখছি।’
লুসি আরও বলেন, ‘আজ যে পৃথিবীতে আমরা বাস করছি তা অনেকটাই ভিন্ন। মানুষের কার্যক্রম পরিস্থতিটিকে পাল্টে দিতে পারে। তবে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে তা বলা খুবই কঠিন।’
রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক লকউড বলছেন, ‘তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে জেটস্ট্রিমের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। এতে আবহাওয়া ব্যবস্থাই ভেঙ্গে পড়ছে। ধারনা করছি, আগামী ৪০ বছরের মধ্যেই আমরা ফের সেই মাউন্ডার মিনিমামে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। যার সম্ভাবনা ১০ থেকে ২০ ভাগ।’
গেল বছর নাসা সতর্কবাণী দিয়েছিল সূর্যের কেন্দ্রে ‘অপ্রত্যাশিত’ কিছু একটা ঘটছে। তারাও বলছে, ২০১৩ সালটিই ছিল সূর্যের সর্বোচ্চ তাপের সময় ।