যারা এবার ইউনিভার্সিটি ,বুয়েট ও মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা দিবেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব পরামর্শ
[ এই পরামর্শ , আপনার স্বপ্ন ও আপনার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আপনাকে যে কোন ইউনিভার্সিটিতে টিকতে সহায়তা করবে ... পড়ে দেখুন আপনি নিজেই সব বুঝতে পারবেন ]
দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। মাধ্যমিক আর উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পেরিয়ে এবার উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষার পরই শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। মেধা, পড়ার বিষয় অনুয়ায়ী উচ্চশিক্ষার পথটিও তখন আলাদা হয়ে যায়।
সঠিক প্রস্তুতি না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হওয়া অনেক কঠিন। কেননা এ ধরনের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে সুনির্দিষ্ট কোনও সিলেবাস থাকে না। তার ওপর আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংকট। সুতরাং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মেধা দিয়েই আপনাকে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আর এজন্য চাই সঠিক প্রস্তুতি।
যেভাবেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক না কেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি মোটামুটি একই রকম। এইচএসসির মূল পাঠ্য বিষয় যদি ভালোভাবে পড়ে থাকেন, তাহলে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব। কেননা এই পাঠ্যবইয়ের বাইরে থেকে সাধারণ জ্ঞান ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণত প্রশ্ন কমই আসে।
যাই হোক অনেক ফরমাল পরামর্শ দেওয়া হল এবার আমার ব্যাক্তিগত কিছু পরামর্শ আপনাদের সাথে শেয়ার করি ...।
আমার এই পদ্বতিতে যত জন স্টুডেন্ট কে আমি পড়িয়েছি তারা সবাই সফল হয়েছে ...
তবে আমি যতই পরামর্শ দিই না কেন আপনার লক্ষ্য , উদ্দেশ্য ও ভর্তির জন্য প্রবল ইচ্ছাশক্তি না থাকে তাহলে এইরকম হাজার পরামর্শ আপনার কিছুই হবে না ...।
ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো সাবজেক্ট এ ভর্তির জন্য আমাদের লক্ষ্যকে রূপান্তর করতে হবে তীব্র আকাঙ্ক্ষায়।
প্রথমে আপনাকে স্বপ্ন দেখতে হবে বিকল্প কোন অপশন হাতে না রেখেই ... মানে না টিকলে প্রাইভেটে ভর্তি হব এই ধরনের কোন চিন্তা করা যাবে না , জাস্ট টিকতে হবে এই ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই ...
একটা কথা মনে রাখবেন ...।
" ইচ্ছাশক্তি নয়, স্বপ্নই সাফল্য সৃষ্টি করে। ইচ্ছাশক্তি হচ্ছে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হাতিয়ার। ইচ্ছাশক্তি হচ্ছে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে চিন্তা ও কাজকে নিয়ন্ত্রিত করার ক্ষমতা। কিন্তু স্বপ্ন ছাড়া ইচ্ছাশক্তি বেশিদূর এগোতে পারে না। আসলে অন্তর্চেতনাই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য দিয়ে ইচ্ছাশক্তিকে জোরদার করে। তাই সফল হতে হলে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন স্বপ্ন তৈরি। অর্থাৎ যে লক্ষ্য আপনি অর্জন করতে চান, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট ধারণা এবং বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে। লক্ষ্যের সঙ্গে নিজেকে পুরোপুরি একাত্ম করতে হবে। আর লক্ষ্যকে সব সময় প্রজ্বলিত রাখতে হবে। আমাদের সমগ্র কল্পনা, চিন্তা ও অনুভূতিকে এ লক্ষ্যের সঙ্গে একাত্ম করতে হবে। অর্থাৎ মানসিকভাবে নিজেকে সাফল্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সফল হওয়ার জন্য স্বপ্ন তৈরি করার পরই প্রয়োজন নিজেকে প্রস্তুত করা। অর্থাৎ সাফল্য গ্রহণ করার দক্ষতা অর্জনে নিজেকে পুরোপুরি সাফল্যের হাতিয়ারে রূপান্তরিত করতে প্রস্তুত হতে হবে। যা পেতে চান নিজেকে তা পাওয়ার যোগ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাজ ও মনোযোগ প্রদানে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে প্রয়োগ করতে হবে। স্বপ্ন যত দূরবর্তী বা যত কঠিন হোক না কেন আপনি যদি আপনার মনকে লক্ষ্যের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন এবং সফল প্রয়াসকে সেই লক্ষ্যে নিবেদিত করতে পারেন, আপনি সফল হবেনই। সাফল্যের প্রাকৃতিক নিয়মেই আপনি ক্রমান্বয়ে বিকশিত হবেন। সাফল্যের ফুল প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রস্ফুটিত হয়।"
এইবার আমার পরামর্শ নিনঃ
------------------------------------
১] প্রিপারেশন ছাড়া কিভাবে পরীক্ষা দিব ?
উত্তরঃ আপনি দুই বছর ধরে এই বইগুল পড়েছেন … মোটামুটি ব্যাসিক আপনার আছে
সেই ব্যাসিকের উপর ভিত্তি করে শুরু করতে হবে । তাছাড়া আপনি টেস্ট দিবার পর সেই প্রশ্ন গুলো আবার শিখছেন এতে করে পরবর্তী মডেল টেস্টের জন্য কিছুটা প্রিপারেশন হয়ে যাচ্ছে ।
২] এক দুই মাসের মধ্যে কিভাবে সব বই শেষ করব?
উত্তরঃ ভবিষ্যতে রিভিশনের জন্য প্রথমে আপনাকে যে কোন একটা বইকে আদর্শ ধরতে হবে ।
আপনি যখন কোন অধ্যায় পড়বেন তখন তার শুধু ইম্পরট্যান্ট বিষয় গুলো সেই বইতে দাগাবেন ও শিখবেন এবং পাশাপাশি ঐ অধ্যায়টা অন্য লেখকের বই গুলতে কেমন লিখছে ও ভর্তি গাইডে কি দেওয়া আছে তা দেখবেন যদি সেগুলোতে ব্যতিক্রম ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু পান …
তাহলে যেই বইটাকে আপনি আদর্শ ধরেছেন সেটাতে আপনি সেগুলো টুকে রাখুন …
এভাবে প্রতিদিন দুই থেকে তিন অধ্যায় শেষ করলে আশা করি এক দুই মাসে সব বই শেষ হয়ে যাবার কথা ।
৩] এখন কোচিং করলে সমস্যা কি ?
উত্তরঃ এখন কোচিং করলে আপনি কখনো নিজের মত করে বই শেষ করতে পারবেন না !
তা ছাড়া এখন কোচিং করলে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হবে …
তাছাড়া নিজে ছোটখাট একটা প্রিপারেশন ছাড়া কোচিং ভর্তি হলে আপনি হয়ত তাদের সাথে তাল মিলাতে পারবেন না ।
মোটামুটি ভাবে বই শেষ করা ছাড়া আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না আপনার কোন সেক্টরে যাওয়া উচিত …
আমি প্রাই দেখি খুব আগ্রহ নিয়ে অনেক টাকা দিয়ে মেডিক্যাল কোচিং এ ভর্তি হয়ে গেল
পরে বায়োলজির বিরক্ত কর পড়া দেখে আর কোচিং এ যায় না …
সেইম সমস্যা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং এ ও …
এছাড়া রেজাল্টের আগে ভর্তি হবার ফলে … পরে দেখা গেল আশানুরূপ গ্রেড না আসার জন্য আপনি সেই সেক্টরে অ্যাপ্লাইও করতে পারছেন না …
মোট কথা, কোচিং ভর্তি হবার আগে আপনি বই শেষ করুন তারপর আপনি সিদ্বান্ত নিন আপনি কোন সেক্টরে যাবেন …
আবেগ আর নাম ফুটানোর জন্য কোচিং ভর্তি হয়ে আপনার লাইফটা নষ্ট করবেন না …
আমার লাইফে আমি অনেক মেধাবী ছেলে দেখেছি … যারা শুধু ভুল সিদ্বান্তের জন্য কোথাও চান্স পাই নাই …
আশা করি আপনারাও দেখেছেন …
বিশেষ নোটঃ
----------------------
ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা লাখ লাখ। কিন্তু, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা তার তুলনায় এতই নগণ্য যে, প্রবাবিলিটির হিসাবে একজন শিক্ষার্থী এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবার সম্ভাব্যতা ০.০০১-এর কাছাকাছি। অর্থাৎ, এ কথা কোনো কোচিং সেন্টার নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না যে, তাদের কোচিং পড়লেই কেউ কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবেই। অথচ, তারা এ কথাটিকেই অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যবহার করে প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করায়। কেউ অকৃতকার্য হলে সেই দায়ভারও তাদের ওপর বর্তায় না, কারণ, ব্যর্থতার ভার সবসময় শিক্ষার্থীর ওপর পড়বে- এটাই আমাদের মজ্জাগত সেই ১৪ বছর আগে থেকেই। কাজেই, কৃত্রিম প্রতিযোগিতা তৈরি করতেই মূলত কোচিং সেন্টারগুলো সংকল্পবদ্ধ- এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তবুও, আমাদের লাখ লাখ শিক্ষার্থী এটার ওপর নির্ভরশীল, তাদের অভিভাবকেরাও এটার প্রতি আস্থাশীল একটাই কারণে, এরা আন্তরিক। অর্থাৎ, এদের মান যতটা না উন্নত, তার চেয়ে এরা আন্তরিকতা বেশি প্রদর্শন করে এবং মানুষকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে থাকে।
কোচিং সেন্টার থেকে যারা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়, তাদের ভালো করার পেছনে খুব সামান্য কৃতিত্বই থাকে কোচিং সেন্টারের। কারণ, যেখানে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী তাদের পড়ার গতির সাথে তাল ধরেই রাখতে পারে না, সেখানে যারা চান্স পায় তারা যদি সত্যিকারই মেধাবী না হয়ে থাকে তাহলে টিকে থাকা মুশকিল। আর, মেধার বিকাশ নিশ্চয়ই কোচিং সেন্টার ঘটায় নি, কারণ, তারা অনেক আগে থেকেই মেধাবী।
এসব কোচিং সেন্টার বলে থাকে, তারা শিক্ষার্থীর মেধাবিকাশে অত্যন্ত সচেতন। আর, এজন্য তাদের আছে এসি ক্লাশরুম, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অভিজ্ঞ (!) শিক্ষক, আবাসন ব্যবস্থা, পরীক্ষা, ডিজিটাল রেজাল্ট পাবলিশিং সফটওয়্যার ইত্যাদি। আর, বিগত ১৪ বছরের পড়া চার মাসে গেলানোর জন্য তারা আবিষ্কার করেছে ‘স্পেশাল বটিকা’; যা গিলে ফেললেই প্রতিভার আভা চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আর বটিকার জোরেই সে চান্স পেয়ে যাবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বলাই বাহুল্য, এই স্পেশাল বটিকা হলো ‘শর্টকাট সিস্টেম’ অর্থ্যাৎ, শর্টকাটে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান ইত্যাদি করার ‘ম্যাজিক্যাল সিস্টেম’। আর, এ সবই পাওয়া যাবে মাত্র ১০-১৪ হাজার টাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে যদি ১০-১৪ হাজার টাকা খরচ করতে হয়, তাহলে মোটামুটি অবস্থাসম্পন্ন পরিবার তা খরচ করতে দ্বিধাবোধ করে না। এমনকি, অসমর্থ পরিবারও ধার-দেনা করে যেভাবেই হোক, সন্তানের মঙ্গলের কথা ভেবে একটা ব্যবস্থা করেই ফেলে। অথচ, এসব গৎবাধা শর্টকাট মুলত মেধার বিকাশ নয়, বরং, প্রতিভা ধ্বংস করার একটা ভয়াবহ ষড়যন্ত্র, এটা তারা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেন না। আর, স্কুল-কলেজেই দীর্ঘ ১৪ বছরে যে ঘাটতি তৈরি হয় তার দায়ভারও কোচিং সেন্টার বহন করে না। অর্থাৎ, শিক্ষার্থী সফল হলে কোচিং সেন্টার ও স্কুল-কলেজের ক্রেডিট আর ব্যর্থ হলেই সেই দায়ভার শিক্ষার্থীর। কী চমৎকার সিস্টেম!
সুতরাং, একজনের সাফল্যের পেছনে ভর্তি কোচিংকে কতটুকু কৃতিত্ব দেয়া যেতে পারে, সেই বিবেচনা আপনাদের হাতেই ছেড়ে দেয়া হলো।
সঠিক প্রস্তুতি না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হওয়া অনেক কঠিন। কেননা এ ধরনের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে সুনির্দিষ্ট কোনও সিলেবাস থাকে না। তার ওপর আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংকট। সুতরাং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মেধা দিয়েই আপনাকে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আর এজন্য চাই সঠিক প্রস্তুতি।
যেভাবেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক না কেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি মোটামুটি একই রকম। এইচএসসির মূল পাঠ্য বিষয় যদি ভালোভাবে পড়ে থাকেন, তাহলে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব। কেননা এই পাঠ্যবইয়ের বাইরে থেকে সাধারণ জ্ঞান ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণত প্রশ্ন কমই আসে।
যাই হোক অনেক ফরমাল পরামর্শ দেওয়া হল এবার আমার ব্যাক্তিগত কিছু পরামর্শ আপনাদের সাথে শেয়ার করি ...।
আমার এই পদ্বতিতে যত জন স্টুডেন্ট কে আমি পড়িয়েছি তারা সবাই সফল হয়েছে ...
তবে আমি যতই পরামর্শ দিই না কেন আপনার লক্ষ্য , উদ্দেশ্য ও ভর্তির জন্য প্রবল ইচ্ছাশক্তি না থাকে তাহলে এইরকম হাজার পরামর্শ আপনার কিছুই হবে না ...।
ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো সাবজেক্ট এ ভর্তির জন্য আমাদের লক্ষ্যকে রূপান্তর করতে হবে তীব্র আকাঙ্ক্ষায়।
প্রথমে আপনাকে স্বপ্ন দেখতে হবে বিকল্প কোন অপশন হাতে না রেখেই ... মানে না টিকলে প্রাইভেটে ভর্তি হব এই ধরনের কোন চিন্তা করা যাবে না , জাস্ট টিকতে হবে এই ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই ...
একটা কথা মনে রাখবেন ...।
" ইচ্ছাশক্তি নয়, স্বপ্নই সাফল্য সৃষ্টি করে। ইচ্ছাশক্তি হচ্ছে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হাতিয়ার। ইচ্ছাশক্তি হচ্ছে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে চিন্তা ও কাজকে নিয়ন্ত্রিত করার ক্ষমতা। কিন্তু স্বপ্ন ছাড়া ইচ্ছাশক্তি বেশিদূর এগোতে পারে না। আসলে অন্তর্চেতনাই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য দিয়ে ইচ্ছাশক্তিকে জোরদার করে। তাই সফল হতে হলে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন স্বপ্ন তৈরি। অর্থাৎ যে লক্ষ্য আপনি অর্জন করতে চান, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট ধারণা এবং বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে। লক্ষ্যের সঙ্গে নিজেকে পুরোপুরি একাত্ম করতে হবে। আর লক্ষ্যকে সব সময় প্রজ্বলিত রাখতে হবে। আমাদের সমগ্র কল্পনা, চিন্তা ও অনুভূতিকে এ লক্ষ্যের সঙ্গে একাত্ম করতে হবে। অর্থাৎ মানসিকভাবে নিজেকে সাফল্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সফল হওয়ার জন্য স্বপ্ন তৈরি করার পরই প্রয়োজন নিজেকে প্রস্তুত করা। অর্থাৎ সাফল্য গ্রহণ করার দক্ষতা অর্জনে নিজেকে পুরোপুরি সাফল্যের হাতিয়ারে রূপান্তরিত করতে প্রস্তুত হতে হবে। যা পেতে চান নিজেকে তা পাওয়ার যোগ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাজ ও মনোযোগ প্রদানে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে প্রয়োগ করতে হবে। স্বপ্ন যত দূরবর্তী বা যত কঠিন হোক না কেন আপনি যদি আপনার মনকে লক্ষ্যের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন এবং সফল প্রয়াসকে সেই লক্ষ্যে নিবেদিত করতে পারেন, আপনি সফল হবেনই। সাফল্যের প্রাকৃতিক নিয়মেই আপনি ক্রমান্বয়ে বিকশিত হবেন। সাফল্যের ফুল প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রস্ফুটিত হয়।"
এইবার আমার পরামর্শ নিনঃ
------------------------------------
- প্রথমে লাইব্রেরী তে গিয়ে কয়েকটা মডেল টেস্ট গাইড কিনে নিবেন… [আমার জানা মতে জয়কলি পাবলিকেশনের কিছু মডেল টেস্ট গাইড আছে বাজারে যা মোটামুটি ভালো তা ছাড়া আপনি অন্যন্য গুলো দেখতে পারেন , এই বইগুলো দাম কিন্তু বেশি না ]
- এর পর আজকে থেকে মডেল টেস্ট দেওয়া শুরু করেন , কোন রকম প্রিপারেশন ছাড়াই পরীক্ষা দেওয়া শুরু করবেন …
- তারপর সেই উত্তর গুলো নিজে নিজে কাটবেন , এবং সঠিক উত্তর গুলো লিখে সবগুলো শিখবেন
- এভাবে প্রতিদিন অন্তত একটা করে মডেল টেস্ট দিতে থাকবেন ।
- প্রথম দিকে ভুলের পরিমাণ হয়ত বেশি হবে … তবে চিন্তার কোন কারন নাই ১৫-২০ টা দিবার পর ভুলের পরিমাণ কমে আসবে এবং আত্তবিশ্বাসের পরিমাণ বাড়তে থাকবে …
- এর পাশাপাশি বিগত সালের ইউনিভার্সিটি ভর্তির সব প্রশ্ন উত্তর শিখে ফেলুন… এইটা আপনার মডেল টেস্ট জন্য কাজে আসবে …
- পুরান বইয়ের দোকান থেকে কয়েকটা গাইড় ও বিভিন্ন রাইটারের বই গুলো কিনে নিয়ে আসুন …
- মডেল টেস্টের পাশাপাশি সেগুলো দাগিয়ে পড়া শুরু করুন …
- এক মাসের মধ্যে সবগুলো সাবজেক্ট মোটামুটি ভাবে শেষ করার চেষ্টা করুন …
- মোট কথা রেজাল্টের আগে বাসায় বসে সবগুলো মডেল টেস্ট ও সবগুলো গাইড় শেষ করে ফেলুন …
- এবার আসি আমার এই উপদেশে আপনাদের কাছ থেকে যে প্রশ্ন গুলো আসতে পারে …
১] প্রিপারেশন ছাড়া কিভাবে পরীক্ষা দিব ?
উত্তরঃ আপনি দুই বছর ধরে এই বইগুল পড়েছেন … মোটামুটি ব্যাসিক আপনার আছে
সেই ব্যাসিকের উপর ভিত্তি করে শুরু করতে হবে । তাছাড়া আপনি টেস্ট দিবার পর সেই প্রশ্ন গুলো আবার শিখছেন এতে করে পরবর্তী মডেল টেস্টের জন্য কিছুটা প্রিপারেশন হয়ে যাচ্ছে ।
২] এক দুই মাসের মধ্যে কিভাবে সব বই শেষ করব?
উত্তরঃ ভবিষ্যতে রিভিশনের জন্য প্রথমে আপনাকে যে কোন একটা বইকে আদর্শ ধরতে হবে ।
আপনি যখন কোন অধ্যায় পড়বেন তখন তার শুধু ইম্পরট্যান্ট বিষয় গুলো সেই বইতে দাগাবেন ও শিখবেন এবং পাশাপাশি ঐ অধ্যায়টা অন্য লেখকের বই গুলতে কেমন লিখছে ও ভর্তি গাইডে কি দেওয়া আছে তা দেখবেন যদি সেগুলোতে ব্যতিক্রম ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু পান …
তাহলে যেই বইটাকে আপনি আদর্শ ধরেছেন সেটাতে আপনি সেগুলো টুকে রাখুন …
এভাবে প্রতিদিন দুই থেকে তিন অধ্যায় শেষ করলে আশা করি এক দুই মাসে সব বই শেষ হয়ে যাবার কথা ।
৩] এখন কোচিং করলে সমস্যা কি ?
উত্তরঃ এখন কোচিং করলে আপনি কখনো নিজের মত করে বই শেষ করতে পারবেন না !
তা ছাড়া এখন কোচিং করলে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হবে …
তাছাড়া নিজে ছোটখাট একটা প্রিপারেশন ছাড়া কোচিং ভর্তি হলে আপনি হয়ত তাদের সাথে তাল মিলাতে পারবেন না ।
মোটামুটি ভাবে বই শেষ করা ছাড়া আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না আপনার কোন সেক্টরে যাওয়া উচিত …
আমি প্রাই দেখি খুব আগ্রহ নিয়ে অনেক টাকা দিয়ে মেডিক্যাল কোচিং এ ভর্তি হয়ে গেল
পরে বায়োলজির বিরক্ত কর পড়া দেখে আর কোচিং এ যায় না …
সেইম সমস্যা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং এ ও …
এছাড়া রেজাল্টের আগে ভর্তি হবার ফলে … পরে দেখা গেল আশানুরূপ গ্রেড না আসার জন্য আপনি সেই সেক্টরে অ্যাপ্লাইও করতে পারছেন না …
মোট কথা, কোচিং ভর্তি হবার আগে আপনি বই শেষ করুন তারপর আপনি সিদ্বান্ত নিন আপনি কোন সেক্টরে যাবেন …
আবেগ আর নাম ফুটানোর জন্য কোচিং ভর্তি হয়ে আপনার লাইফটা নষ্ট করবেন না …
আমার লাইফে আমি অনেক মেধাবী ছেলে দেখেছি … যারা শুধু ভুল সিদ্বান্তের জন্য কোথাও চান্স পাই নাই …
আশা করি আপনারাও দেখেছেন …
বিশেষ নোটঃ
----------------------
ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা লাখ লাখ। কিন্তু, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা তার তুলনায় এতই নগণ্য যে, প্রবাবিলিটির হিসাবে একজন শিক্ষার্থী এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবার সম্ভাব্যতা ০.০০১-এর কাছাকাছি। অর্থাৎ, এ কথা কোনো কোচিং সেন্টার নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না যে, তাদের কোচিং পড়লেই কেউ কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবেই। অথচ, তারা এ কথাটিকেই অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যবহার করে প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করায়। কেউ অকৃতকার্য হলে সেই দায়ভারও তাদের ওপর বর্তায় না, কারণ, ব্যর্থতার ভার সবসময় শিক্ষার্থীর ওপর পড়বে- এটাই আমাদের মজ্জাগত সেই ১৪ বছর আগে থেকেই। কাজেই, কৃত্রিম প্রতিযোগিতা তৈরি করতেই মূলত কোচিং সেন্টারগুলো সংকল্পবদ্ধ- এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তবুও, আমাদের লাখ লাখ শিক্ষার্থী এটার ওপর নির্ভরশীল, তাদের অভিভাবকেরাও এটার প্রতি আস্থাশীল একটাই কারণে, এরা আন্তরিক। অর্থাৎ, এদের মান যতটা না উন্নত, তার চেয়ে এরা আন্তরিকতা বেশি প্রদর্শন করে এবং মানুষকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে থাকে।
কোচিং সেন্টার থেকে যারা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়, তাদের ভালো করার পেছনে খুব সামান্য কৃতিত্বই থাকে কোচিং সেন্টারের। কারণ, যেখানে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী তাদের পড়ার গতির সাথে তাল ধরেই রাখতে পারে না, সেখানে যারা চান্স পায় তারা যদি সত্যিকারই মেধাবী না হয়ে থাকে তাহলে টিকে থাকা মুশকিল। আর, মেধার বিকাশ নিশ্চয়ই কোচিং সেন্টার ঘটায় নি, কারণ, তারা অনেক আগে থেকেই মেধাবী।
এসব কোচিং সেন্টার বলে থাকে, তারা শিক্ষার্থীর মেধাবিকাশে অত্যন্ত সচেতন। আর, এজন্য তাদের আছে এসি ক্লাশরুম, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অভিজ্ঞ (!) শিক্ষক, আবাসন ব্যবস্থা, পরীক্ষা, ডিজিটাল রেজাল্ট পাবলিশিং সফটওয়্যার ইত্যাদি। আর, বিগত ১৪ বছরের পড়া চার মাসে গেলানোর জন্য তারা আবিষ্কার করেছে ‘স্পেশাল বটিকা’; যা গিলে ফেললেই প্রতিভার আভা চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আর বটিকার জোরেই সে চান্স পেয়ে যাবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বলাই বাহুল্য, এই স্পেশাল বটিকা হলো ‘শর্টকাট সিস্টেম’ অর্থ্যাৎ, শর্টকাটে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান ইত্যাদি করার ‘ম্যাজিক্যাল সিস্টেম’। আর, এ সবই পাওয়া যাবে মাত্র ১০-১৪ হাজার টাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে যদি ১০-১৪ হাজার টাকা খরচ করতে হয়, তাহলে মোটামুটি অবস্থাসম্পন্ন পরিবার তা খরচ করতে দ্বিধাবোধ করে না। এমনকি, অসমর্থ পরিবারও ধার-দেনা করে যেভাবেই হোক, সন্তানের মঙ্গলের কথা ভেবে একটা ব্যবস্থা করেই ফেলে। অথচ, এসব গৎবাধা শর্টকাট মুলত মেধার বিকাশ নয়, বরং, প্রতিভা ধ্বংস করার একটা ভয়াবহ ষড়যন্ত্র, এটা তারা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেন না। আর, স্কুল-কলেজেই দীর্ঘ ১৪ বছরে যে ঘাটতি তৈরি হয় তার দায়ভারও কোচিং সেন্টার বহন করে না। অর্থাৎ, শিক্ষার্থী সফল হলে কোচিং সেন্টার ও স্কুল-কলেজের ক্রেডিট আর ব্যর্থ হলেই সেই দায়ভার শিক্ষার্থীর। কী চমৎকার সিস্টেম!
সুতরাং, একজনের সাফল্যের পেছনে ভর্তি কোচিংকে কতটুকু কৃতিত্ব দেয়া যেতে পারে, সেই বিবেচনা আপনাদের হাতেই ছেড়ে দেয়া হলো।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সব লেকাচার শিট বা ই-বুক ডাউনলোড করতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
http://tanbircox.blogspot.com/2013/06/HSC-books-tanbircox.html বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে নিচের ওয়েব সাইট গুলো দেখতে পারেন http://www.careernews24.com/ http://www.eduicon.com/index.php http://www.edunewsbd.com/ সবশেষে নিজে নিজে পরীক্ষা-প্রস্তুতি নিয়ে সফল একজন শিক্ষার্থীর সাক্ষাতকারটি দেখুন_ |
ঝটপট লিঙ্কঃ
বুয়েটে ভর্তি প্রস্তুতির টুকিটাকি
|