আইন্সটাইন তাঁর বিখ্যাত “ থিওরি অব রিলেটিভিটি” থেকে এ সম্পর্কটি প্রতিপাদন করেন ।
বাবহারিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাস্তবে কিভাবে একটি বস্তুকে আলোর গতিতে চালিত করা যায় ?
যদি বস্তুর বেগ v , আলোর বেগ cএর সমান হয় অর্থাৎ v=c
তাহলে , m= m./√ (1-v^2/c2)
m = ∞ যখন v = c
অর্থাৎ,বস্তুর ভর অসীম হয়ে যাবে যা বাস্তবসম্মত নয়।
কোন ব্যক্তির ভর যদি 50 kg হয় এবংতাঁর ভর কে যদি সম্পূর্ণ শক্তিতে রুপান্তরিত করা যায় তাহলে প্রাপ্ত শক্তির পরিমান দাঁড়াবে,
e=mc2
= 50x (3x10^8)^2 Joule
= 4, 50x10^16 J!!! বিপুল পরিমান শক্তি !
কিন্তু কথা হল, মানব দেহ যে উপাদান দ্বারা গঠিত সেই উপাদান গুলো অনেক স্থায়ী (stable). প্রযুক্তির উন্নতি এতদুর পর্যন্ত গড়ায় নি যে মানবদেহের উপাদানকে শক্তিতে রুপান্তরিত (convert) করা যাবে ।
এখন তবে বাকি রইল প্রকিতিতে বিদ্যমান মৌল সমূহ। এমন ই এক মৌল হল ইউরেনিয়াম। ইউরেনিয়াম (u235) এর ভারী নিউক্লিয়াস কে নিউট্রন (.1n ) দ্বারাআঘাত করলে ভারী নিউক্লিয়াস টি ভেঙ্গে দুটি খুদ্র কিন্তু সমান ভর বিশিষ্টনিউক্লিয়াস সৃষ্টি হয় এবং সেই সাথে বিপুল পরিমান শক্তি , যাকে নিউক্লিয়ারপদার্থবিজ্ঞান এ ফিশন(fission) বিক্রিয়াবলা হয়। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপঃ
235 1 144 89
U + . n = Ba + Kr + 3n + 177 Mev
92 56 36
ফিশন বিক্রিয়ার উল্টোটি হল ফিউশান বিক্রিয়া । যেখানে দুটি নিউক্লিয়া একত্রিত হয়ে অপেক্ষাকৃত ভারী নিউক্লিয়াস । নক্ষত্রে যে বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর তাপ ও শক্তিউতপাদিত হচ্ছে এবং যা মহাবিশ্ব এ সমস্ত শক্তির উৎস হল হাইড্রজেন পরমানুর ফিউশানিত হয়ে হিলিয়াম পরমানুর গঠন । সূর্যে যে প্রতিনিয়ত তাপ উৎপন্ন হচ্ছে তা হল এই ফিশন বিক্রিয়ার প্রভাব ।
নিউক্লিয় শক্তির প্রথম প্রকাশ ঘটে ধ্বংসলীলার মাধ্যমে। ১৯৪৫ সালে আগষ্টমাসে জাপানের হিরশিমা ও নাগাসাকি শহর দুটি তে নিউক্লিয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে ধ্বংসহয় শহর দুটি । পারমানবিক শক্তির প্রথম ব্যবহার শুরু হয় ১৯৫৪ সালে । ঐ সময় তৎকালীন সোভিয়াত ইউনিয়নে প্রথম নিউক্লিয় তড়িৎ ক্ষেত্রে তড়িৎ উৎপাদন শুরু হয়।